অনলাইন ডেস্ক:

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় সহযোগিতা পেয়ে দিপালী গোস্বামী বলেছেন, ‘আমার একটা পা নাই ১০ বছর। নিজের বসত ভিটাও কিচ্ছু নাই। ছোট ছোট পুলা-মাইয়া নিয়া খাইয়া না খাইয়া কোনো রকম দিন যাইতাছে। আইজকা ছাগল, মুরগি ও চায়ের দোকানের মালপত্র পাইছি। এহন কিছুটা হইলেও শান্তিতে থাকতে হারবাম।’

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে এ কথা বলছিলেন দিপালী গোস্বামী (৬৮)।

দিপালী গোস্বামী নেত্রকোনার মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর বৈশ্যপাড়া এলাকার মৃত নিরঞ্জন গোস্বামীর স্ত্রী। সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তাকে ছাগল, মুরগি, নগদ টাকা ও একটি চায়ের দোকানের মালপত্র দেওয়া হয়েছে। শুধু দিপালী গোস্বামী নয়, তার মতো এরকম আরও ৮টি পরিবারকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

দিপালী গোস্বামী জানান, অসুস্থার কারণে ১০ বছর আগে তার একটি পা কাটতে হয়েছে। এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে স্বামী মারা গেছেন দুই বছর আগে। বড় মেয়ে এ বছর কলেজে ভর্তি হয়েছে। মেঝ মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ছে। আরেকটি মেয়ের বয়স ১০ বছর এবং ছেলে বয়স ৪ বছর। স্বামী মারা যাওয়ার পরই একমাত্র বসত ভিটে (৫ শতাংশ) বিক্রি করতে হয়েছে। এক বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে থাকছেন তিনি। কিন্তু ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।

তিনি আরও জানান, সরকারিভাবে একটি চায়ের দোকানের মালপত্র ও পালনের জন্য ছাগল, মুরগি দেওয়া হয়েছে। বসত ঘরের পাশেই আজ থেকে চা বিক্রি করবেন তিনি। ছাগল ও মুরগি পালন এবং চা বিক্রি করে এখন থেকে সুন্দরভাবে পরিবার চালাতে পারবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় দিপালী গোস্বামীকে ছাগল, মুরগী ও চায়ের দোকানের মালপত্র দেওয়া হয়েছে। তার মতো আরও সাতটি ভিক্ষুক পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। উপজেলা ভিক্ষুক মুক্ত করতে তালিকা তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। যাচাই-বাছাই করে প্রত্যকটি ভিক্ষুক পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।